বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

শ্রমিকলীগ পরিচয়ে স্ট্যান্ডে বেপরোয়া চাঁদাবাজি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি::

শ্রমিকলীগ পরিচয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল স্ট্যান্ডে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে গাড়ির মালিকরা অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান বাইপাস সড়কের গাউছিয়া এলাকায় নিষিদ্ধ যানবাহনের ষ্টান্ড বসিয়ে গাড়ী থেকে হাইওয়ে পুলিশের (ওসি) আব্দুল কায়ুমের নামে মাসোয়ারা আদায় করছে।

জানা যায়, সাওঘাট এলাকায় শ্রমিকলীগের পরিচয়ে আবুল হোসেন, গোলাকান্দাইল এলাকায় ইয়াছিন মোল্লা, তালাল, খালেক ও খোরশেদ সহ কয়েকজন চাঁদাবাজ মিলে হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তার নামে প্রতিটি সিএনজি থেকে ২’শ, ৪’শ, ৫’শ ও ১ হাজার টাকা করে মাসোয়ারা আদায় করে নিচ্ছে।

ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, সাওঘাট-আড়াইহাজার রোডে সভাপতি পরিচয়ে আবুল হোসেন মহাসড়কের উপর সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়ে ওসির নামে প্রতি মাসে সিএনজি প্রতি ২শত করে চাঁদা আদায় করে আসছে। এছাড়াও প্রতিদিনে চালকদের দিতে হচ্ছে ৩০টাকা। এ রোডে চলাচল করছে প্রায় ২০০টি সিএনজি।

অন্যদিকে, ইয়াছিন মোল্লা এশিয়ান হাইওয়ে গোলাকান্দাইল-গাজীপুর রোডে সিএনজি স্ট্যান্ড পরিচালনা করে আসছে। সেও নিজেকে শ্রমিক লীগের সভাপতি দাবী করে (ওসি) আব্দুল কায়ুমের নাম করে প্রতিমাসে ৪’শ করে টাকা আদায় করে আসছে। এছাড়াও প্রতি টিপে চালকদের দিতে হচ্ছে ১০০টাকা। এ রোডে চলাচল করছে প্রায় ২৫০টি সিএনজি। একই ষ্টান্ডে তালাল মিয়া নিজেকে শ্রমিকলীগের সেক্রেটারী পরিচয়ে দিয়ে চালিয়ে আসছে ফিটনেস বিহীন ট্যাক্সি -মীরের বাজার ও মায়ার বাড়ি রোডের লক্কর ঝক্কর ফিটনেছ বিহীন গাড়ীর থেকেও সে প্রতি মাসে ৫’শ করে টাকা নিচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিনে চালকদের দিতে হচ্ছে ৬০টাকা। এটা নাকি ষ্ট্যান্ড খরচ বা চাঁদাবাজের বেতন।

এ প্রসঙ্গে নেতা তালাল বলেন, আমাকে মাসে মাসে ফাঁড়িতে ও হাইওয়ে পুলিশের ওসি সারকে টাকা দিতে হচ্ছে। তাই আমি এ টাকা নিতে হচ্ছে। পিক-আপ স্ট্যান্ডের ৭০টি গাড়ী দেখাশুনা করেন খালেক ও খোরশেদ। এরা প্রতি গাড়ীর মাসিক মাসোয়ারা দেয় ১হাজার টাকা। সেখান থেকে তারা হাইওয়ে পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দেন বলে দাবী করেন খোরশেদ। খোরশেদ এও বলেন আমাদের ষ্টান্ড কেউ উঠাতে পারবেনা। কারণ আমরা পুলিশকে টাকা দিয়ে থাকি। সে নিজেকে স্ট্যান্ডের সভাপতি দাবী করে। এখান থেকে সে হাইওয়ে পুলিশের নামে চাঁদা তুলে থাকে বলে জানায় এক পিক-আপ চালক।

এছাড়াও জানা যায় এসকল নামধারী নেতারা প্রতিটি স্ট্যান্ডে গাড়ী থেকে মাসিক টাকা তুলার জন্য রেখেছে সাওঘাট এলাকায় জাহাঙ্গির ও রানাকে। এদিকে গোলাকান্দাইল গাজীপুর রোডে কবির হোসেন নামে রাখা হয়েছে আর এক চাঁদাবাজ। গাজীপুর রোডের এক সিএনজি চালাক নাম না বলার শর্তে বলেন আমরা প্রতি মাসে ইয়াছিন মোল্লাকে ৪’শ করে টাকা দেই। হাইওয়ে ওসিকে দেয়ার কথা বলেই ওই টাকা নিচ্ছে। তবে আমরা টাকা দেয়ার পরও মাঝে মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ আমাদের গাড়ী কেন যে আটক করে তা বলতে পারিনা।

কাঁচপুর থানার ওসি (হাইওয়ে) আব্দুল কায়ুম বলেন, আমার নাম করে চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। ইতি মধ্যে কয়েকটি ত্রিহুইলার আটক করে ডামপিং করা হয়েছে। ত্রি-হুইলার বন্ধের অভিযান চালানো হবে। কোন ক্রমেই মহাসড়কে তিন চাকার যান চলতে দেয়া হবেনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com